৫৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্রিসবেনের বাসিন্দা হ্যারিসন বেইলি কখনও কল্পনাও করেননি যে ভারত ভ্রমণ কেবল তার স্বাস্থ্যের পরিবর্তনই করবে না বরং জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দেবে। জটিল হৃদরোগ এবং তার দেশে সীমিত বিকল্পের মুখোমুখি হয়ে, হ্যারিসন ভারতের কার্ডিয়াক সার্জারি পরিষেবার দিকে ঝুঁকে পড়েন, যারা তাকে মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লি - দ্য মেডিসিটিতে নিয়ে যান, যা বিশ্বব্যাপী ভারতের সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি হিসাবে পরিচিত। আজ তিনি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন দিল্লির মেদান্ত হাসপাতালে সফল হৃদরোগ অস্ত্রোপচার যা দিল্লির মেদান্ত হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় হার্ট সার্জনদের কাছ থেকে বেঁচে থাকার, আশার এবং ব্যতিক্রমী যত্নের অনুপ্রেরণামূলক গল্প।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ভারত সাশ্রয়ী মূল্যের এবং বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, বিশেষ করে কার্ডিয়াক সার্জারির মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে। উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষিত সার্জন এবং অত্যাধুনিক অবকাঠামোর মাধ্যমে, ভারতীয় হাসপাতালগুলি বিশ্বজুড়ে রোগীদের আকর্ষণ করছে। এরকম একটি উল্লেখযোগ্য গল্প হল হ্যারিসন বেইলির। গুরুতর করোনারি ধমনী রোগ নির্ণয়ের পর, হ্যারিসনের তাৎক্ষণিক করোনারি ধমনী বাইপাস গ্রাফটিং (CABG) প্রয়োজন ছিল, যা কেবল তার জীবন বাঁচাতে পারেনি বরং তার জীবনের মানও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। দীর্ঘ অপেক্ষার সময় এবং অত্যধিক খরচের মুখোমুখি হয়ে, হ্যারিসন বিকল্পগুলির সন্ধান করেছিলেন - এবং সেই অনুসন্ধান তাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছিল মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লি ভারতের কার্ডিয়াক সার্জারি পরিষেবার মাধ্যমে।
শুরুটা হয়েছিল শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি এবং বুকে ব্যথা দিয়ে। প্রথমে মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে হ্যারিসনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে, যতক্ষণ না তার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার সময় একাধিক করোনারি ধমনীতে ব্লকেজ দেখা দেয়। অস্ট্রেলিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সত্ত্বেও, হ্যারিসন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান যে অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং বীমা থাকা সত্ত্বেও খরচ অপ্রতিরোধ্য। তখনই তিনি চিকিৎসা পর্যটনের বিকল্পগুলি অন্বেষণ শুরু করেন এবং একজন সহকর্মীর সুপারিশ তাকে ভারতের কার্ডিয়াক সার্জারি পরিষেবাগুলিতে নিয়ে যায়।
মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লি - ভারতের গুরগাঁওয়ে অবস্থিত মেদান্ত হাসপাতাল - দ্য মেডিসিটি জটিল কার্ডিয়াক পদ্ধতির জন্য একটি দুর্দান্ত খ্যাতি অর্জন করেছে। এই হাসপাতালটি মেদান্তের কিছু শীর্ষস্থানীয় হার্ট সার্জনদের আবাসস্থল, যাদের জটিল হার্ট সার্জারি করার ক্ষেত্রে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু হ্যারিসনের সিদ্ধান্তকে সিলমোহর করে তুলেছিল ইন্ডিয়া কার্ডিয়াক সার্জারি সার্ভিসেস কর্তৃক প্রদত্ত নিরবচ্ছিন্ন এবং স্বচ্ছ সহায়তা, যা ভারতে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ভ্রমণের সুবিধার্থে একটি বিশ্বস্ত নাম। বেস্ট হার্ট ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লিতে পৌঁছানোর পর, হ্যারিসন একাধিক উন্নত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করেছিলেন, যা মাল্টি-ভেসেল বাইপাস সার্জারির প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে।
তার আগমনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে অস্ত্রোপচারের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং সার্জিক্যাল টিম তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্রিফ করেছিল। পদ্ধতিটি সফল হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধানে মেদান্তের শীর্ষস্থানীয় হার্ট সার্জন, হ্যারিসনের ন্যূনতম আক্রমণাত্মক কার্ডিয়াক সার্জারির সর্বশেষ কৌশল ব্যবহার করে ট্রিপল বাইপাস সার্জারি করা হয়েছিল, যা ক্ষতচিহ্ন এবং পুনরুদ্ধারের সময়কে কমিয়ে এনেছিল। অস্ত্রোপচারের মাত্র দুই সপ্তাহ পরে, হ্যারিসন আরামে হাঁটছিলেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার পরবর্তী পরামর্শ অব্যাহত রেখেছিলেন এবং মেদান্তের সেরা হার্ট ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের দলের সাথে নিয়মিত ফলোআপ বজায় রেখেছিলেন।
হ্যারিসন বেইলির গল্পটি বিশ্বমানের দক্ষতা, সহানুভূতিশীল যত্ন এবং আন্তর্জাতিক রোগী সহায়তা একত্রিত হলে কী সম্ভব তার একটি শক্তিশালী প্রমাণ। দীর্ঘ অপেক্ষা, উচ্চ খরচ, অথবা তাদের নিজ দেশে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সীমিত অ্যাক্সেসের মুখোমুখি রোগীদের জন্য, ভারত কার্ডিয়াক সার্জারি পরিষেবা এবং মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লি হাসপাতাল একটি জীবন পরিবর্তনকারী বিকল্প প্রদান করে। রোগ নির্ণয় থেকে পুনরুদ্ধার পর্যন্ত, ভারতে হ্যারিসনের যাত্রা পেশাদারিত্ব, সহানুভূতি এবং কার্ডিয়াক যত্নে উৎকর্ষতার দ্বারা চিহ্নিত ছিল। যদি আপনি বা আপনার প্রিয়জন একই ধরণের কার্ডিয়াক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তাহলে ভারতের কার্ডিয়াক সার্জারি পরিষেবাগুলিতে যোগাযোগ করার এবং মেদান্ত হাসপাতাল দিল্লির শীর্ষস্থানীয় হার্ট সার্জনদের দ্বারা চিকিৎসা অন্বেষণ করার কথা বিবেচনা করুন যেখানে জীবন প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়।
ধন্যবাদ,
হ্যারিসন বেইলি
অস্ট্রেলিয়া থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন